
মোঃ জামাল হোসেনঃ রক্ত দান করা একটি মহৎ গুণ।পৃথিবীর মানুষ যে, যে ধর্মই পালন করিনা কেন,তবে রক্তের রং কিন্তু সবার একি রকম হয়।এই রক্ত দানে মানবতার পাশে থাকতে বর্তমানে এগিয়ে এসেছে চামটার কিছু যুবক।কারো রক্ত লাগবে শুনলেই দ্রুত এগিয়ে আসতে দেখা যায় তাদের।তবে এ ছাড়াও সেচ্ছায় নিজেরা আবার রক্ত দান করার জন্য মাঝে মাঝে অনলাইনে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন।হাসি মুখেই ডাক্তারের সূচের নীচে রক্ত দান করার জন্য হাত বিছিয়ে দেয় তারা।তবে এ হাত সূচের আঘাতে ফুটো হলেও একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দান করতে পারলে মুখে ফুটে ওঠে হাসি,আর অন্তরে চলে প্রশান্তির খেলা।যখন শোনা যায় তারি রক্তে মহান প্রভূ একজন মুমূর্ষু রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন,তখনি মন যেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে তাদের।এর পরেই আবারও নিজেকে তৈরি করেন রক্ত দিয়ে মানবতার পাশে দাড়ানোর জন্য।এমনি একজন সেচ্ছায় রক্ত দান কারী চামটা ইউনিয়নের মোঃ জাফর ইকবাল (২৭), চামটা ইউনিয়নের পশ্চিম দিনারা গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের পিতাঃ আবুল হোসেন রাড়ি (৬৫) মাতাঃ জাহানারা বেগম (৫৫) এর ঘরে জন্ম তার।মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই ছেলেটি ছোট বেলা থেকেই মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে।জানা গেছে এ পর্যন্ত ১২ জন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দান করেছেন তিনি।এ ছাড়াও তিনি জানান আল্লাহ আমাকে যতদিন হায়াতে বাচিয়ে রাখেন ততদিন আমি সেচ্ছায় রক্ত দান করে যাবো।তার এ মানবতা দেখে তার মতো চামটা ইউনিয়নে রক্ত দান করতে এগিয়ে আশা যুবক রয়েছে ৩০ জনের মতো।যারা রক্ত দিয়ে আসছে অসংখ্য মুমূর্ষু রোগীকে।এরমধ্যে রয়েছে, মোঃ জাফর ইকবাল (A+) কবির হোসেন (A+) শহিদুল ইসলাম (B+) রফিক খান (B+) শিমুল হাওলাদার (B+) ইউনুস শিকদার (A+) জাহিদুল ইসলাম (A+) এদের মতো ইউনিয়নে আরও নতুন অনেকেরই আগ্রহ বাড়ছে এ মহান কাজে। জাফর ইকবালের কথা,এবং ভালোবাসায় নতুন করে বাড়ছে রক্ত দানে এগিয়ে আশা সদস্য।যারা যোগ হচ্ছে শরীয়তপুরের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান রক্ত দানে শরীয়তপুর এবং সেবা রক্তদাতা ক্লাবে।তাদের থেকে এবং এলাকা থেকে জানা গেছে,কারো রক্ত লাগবে এমন কোন ফোন বা খবর শুনলেই তারা রক্ত দান করতে বা রক্তের খোঁজে তাৎক্ষনিক কাজ করেন তারা।কখনো নিজেরা,কখনো অন্যের থেকে আবার কখনও এ বাড়ি ও বাড়ি করেই খোঁজ পেয়ে যান খুজে চলা সেই গ্রুপের রক্ত।পৌঁছে দেন রোগীর স্বজনদের কাছে।বিনিময়ে একটি পয়সাও নেননা তারা।১২ বার রক্ত দান করা জাফরের রক্ত দানে অন্যের জীবন বেঁচে যাওয়ার যে আনন্দ তা সে উপলব্ধি করতে পেরেছে বলেই বার বার রক্ত দান করতে আনন্দ পায় সে।চামটার এসব যুবকদের মতো সব যায়গার যুবকেরা মুমূর্ষু রোগীদের বাঁচাতে সেচ্ছায় রক্ত দানে এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন মোঃ জাফর ইকবাল।তাই রক্তদানে এগিয়ে আসুন,জীবন বাচান।মনে রাখবেন আপনার রক্তদানে বেচে যেতে পারে একটি জীবন,একটি মানুষ,এমনকি একটি গোটা পরিবার।