
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের ধামারন গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের সংযোগ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা রয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তাটি মাত্র ৭০০ মিটার।এতে রাস্তাটি পূর্ব মাথায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি মাদ্রাসা আছে,রাস্তাটির পশ্চিম মাথায় ধামারন ত্রিপল্লী ৩৩ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাঃ কে এ জলিল উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত।এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় হাজারের উপরে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে বলে জানা গেছে। এদিকে রাস্তাটি পূর্ব মাথায় অন্তত ২০০ পরিবার বসবাস করে এই পরিবারগুলোর বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য এই একটি মাত্র রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়।এবং এই একটি মাত্র রাস্তা ধরে কমিউনিটি ক্লিনিকে যাতায়াত করে অত্র এলাকার মানুষ। এই কমিউনিটি ক্লিনিকে গর্ভবতী মায়েদের ডেলিভারি করানো হয়, কিন্তু রাস্তার এমন বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পড়ে গর্ভবতী মায়েরা।একটু বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় হাটু পর্যন্ত কাঁদা।এতে করে বাচ্চাদের মাদ্রাসা এবং স্কুলে যেতে যেমন কস্ট ভোগ করতে হয় তেমনি ব্যাপক সমস্যায় পড়েন কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা রোগীরা।বিশেষ করে যখন কোন গর্ভবতী মহিলাদের সমস্যা হয় তখন তাৎক্ষণিকভাবে পাশে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিকে আনতে হয়।কিন্তু ক্লিনিকে আসার জন্য এ রাস্তাটি কাঁচা হওয়ার কারণে যেমন খানাখন্দভরা তেমনি বৃষ্টি হলেই হাটু পরিমাণ কাঁদা হয়ে যায়, এতে এ পথে কোনভাবেই চলাচল করা যায় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।যার কারণে গর্ভবতী নারীদের সেবা নিতে কস্ট হয়ে যায়। এতে যেকোন সময় দূর্ঘটনার আশংকায় পরতে পারেন বলে জানান তারা।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় এ রাস্তাটি অন্তত ৭০ বছর পুরনো, রাস্তাটি দিয়ে কয়েকটি গ্রামের লোকজনের যাতায়াত, কিন্তু কি কারণে এই রাস্তাটি আজও ইটের সলিং বা পাকা করা হলো না সেটাই প্রশ্ন স্থানীয়দের।এ ব্যাপারে স্থানীয় মোহাম্মদ সিরাজ সরদার বলেন, এ রাস্তাটি দিয়ে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যাতায়াত করে একটু বৃষ্টি হলেই বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না রাস্তায় কাদা ও পানি জমে যায় বলে, বড় রাস্তা ধরে বাচ্চাদের কে স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে কারণ বড় রাস্তায় গাড়ি চলাচল খুব বেশি, হরহামেশাই অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে তাছাড়া অনেকদূর ঘুরে যেতে হয় তাই আমাদের একটাই দাবি এই রাস্তাটি যেন পাকা সড়ক করে দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং এর মেম্বার আব্দুল বারেক খাকি বলেন,আমি নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এলজিডি ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে মেপে এই রাস্তা ও স্কুলের খালের উপর ব্রীজের স্কিম দিয়েছিলাম,খালের উপর ব্রিজ হয়ে গেছে।কিন্তু রাস্তাটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন আমি গত বৎসর রাস্তা টিতে মাটি ভরাট করেছি কিন্তু এ বছর বন্যা রাস্তাটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিঝারী ইউনিয়নের পাঁচটি রাস্তার স্কিম দিয়েছি তার মধ্যে এই রাস্তা টিও আছে।